রাজনীতিতে তোলপাড়
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম
‘রাইজ অব এম্পায়ার্স’ তুর্কি ইতিহাসনির্ভর ডকুড্রামার ঐতিহাসিক ডায়লগ ‘নাউ অর নেভার’ (এখন না হলে কখনোই না) সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এই পোস্টে হাজার হাজার লাইক, শেয়ার, কমেন্ট পরেছে। ২৮ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুকে এই স্ট্যাটাস দেন। অতঃপর ছাত্রনেতারা সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা একে অন্যকে উদ্দেশ্য করে স্ট্যাটাস দেন ‘কমরেড, নাউ অর নেভার’। ডায়লগটি সোস্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলে।
ছাত্র-জনতার বিপ্লবের নায়করা ঘোষণা দেন, ৩১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ ঘোষণা করা হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ গণমাধ্যমকে জানান, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ বাকি ছিল। যেটা ২০২৪-এর মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ করা হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে সেই ঘোষণা দিবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।’ এরপর রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয় তোলপাড়। রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা নড়েচড়ে বসেন। কি হচ্ছে দেশে? ৩১ ডিসেম্বর ছাত্ররা কি নিয়ে হাজির হচ্ছেন? তারা কি ‘কিংস পার্টি’র ঘোষণা দেবেন? নাকি অন্যকিছু? উৎসুক রাজনীতিক ও রাজনীতি সচেতন মানুষ গভীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ৩১ ডিসেম্বর কী ঘোষণা দেয়া হয় তা দেখার জন্য।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের লিখিত দলিল হবে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দেয়া হবে লাখো জনতার উপস্থিতিতে। ঘোষণাটি সামগ্রিকভাবে পুরো বাংলাদেশের লিখিত দলিল হিসেবে থাকবে। বাংলাদেশের আগামীর স্বপ্ন, আকাক্সক্ষা, অভিপ্রায়, লক্ষ্য ও ইশতেহার লিপিবদ্ধ থাকবে। এই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে বাহাত্তরের মুজিববাদী সংবিধানের কবর রচিত হবে এবং আওয়ামী লীগকে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করা হবে। জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ৫ আগস্ট না হওয়ার কারণে বিদেশে বসে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে। এটি ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের লেজিটিমেসিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। গণঅভ্যুত্থান ঘিরে মানুষের যে আকাক্সক্ষা সৃষ্টি হয়েছে এবং বাহাত্তরের সংবিধান যে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে, তার একটি দালিলিক প্রমাণ এবং পরবর্তী বাংলাদেশের ইশতেহার ঘোষণাপত্রে লিপিবদ্ধ থাকবে।
নাটক সিনেমার ডায়লগ দিয়ে রাজনীতি ও রাষ্ট্র চলে না এটা ঠিক; কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীরা ৫ আগস্টের চেতনা ধরে রেখেছেন। তারা যেভাবে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দল গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে তৎপর বছরের পর বছর জুলুম-নির্যাতন সহ্য করা দলগুলো ততটা তৎপর নয়। ১৮ কোটি মানুষ কি চায় তা ধারণ করে শিক্ষার্থীরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, হাসিনার বিচার, ভারতের সঙ্গে গোপন চুক্তিগুলো বাতিলের দাবিতে সোচ্চার রয়েছে। এ ক্ষেত্রে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো এখনো বেখেয়াল। ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালানোর পর রাজনৈতিক দলগুলোর মনন ও চিন্তা চেতনায় কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। হাজারো মানুষকে হত্যা করে পালানো হাসিনাকে ‘ফ্যাসিস্ট’ বলতে নারাজ জামায়াত। শুধু তাই নয় দিল্লিকে খুশি করতে ‘আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন’ শ্লোগানে রাজনীতি করা ইসলামী ধারার দলটি হিন্দু শাখা খুলেছে। হিন্দুত্ববাদী মোদীকে খুশি করতে ‘ভারত বিরোধী নই’ প্রচার করছে। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা যেমন খুশি পোশাক পরিধান করতে পারবে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। এমনকি আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে আসন সুনিশ্চিত করতে দিল্লির এজেন্ডা ‘সংখ্যানুপাতিক জনপ্রতিনিধি’ নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ ঘোষণার দিনই পাশেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের অঙ্গ সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি ১৫ বছর জুলুম-নির্যাতন সহ্য করার পরও আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এবং দলটির একাধিক নেতা শেখ মুজিবের করা বাহাত্তরের সংবিধানের জন্য মায়াকান্না করছে। আর রাজপথে বিএনপির সঙ্গে দীর্ঘদিন এবং যুগপথ কর্মসূচিতে আন্দোলন করা খুচরা দলগুলোর কয়েকজন নেতা ইতোমধ্যেই সম্ভাব্য ‘কিংস পার্টি’র কাছে বিক্রির খাতায় নাম লেখাতে শুরু করেছেন।
তারা ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ নিজে নিজেদের সুবিধামতো করে বক্তব্য দিচ্ছেন। জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘ছাত্র নেতৃত্ব তাদের বক্তব্য তুলে ধরার কথা বলেছে। যে কেউ তাদের বক্তব্য দিতে পারে। যেমন জামায়াতে ইসলামী ১০ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে, বিএনপি ৩১ দফা দিয়েছে। সেই জায়গা থেকে আমরা তাদের উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি।’ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘যখন বৃহত্তর ঐক্যের প্রয়োজন, তখন বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল করাসহ বিভিন্ন বক্তব্য এবং এ ধরনের উদ্যোগ অনাস্থা-বিভেদ বাড়াবে।’ সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘বাহাত্তরের সংবিধান কবর দেয়ার কথা বলা হচ্ছে। এ ধরনের বক্তব্য সাধারণত স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দিয়ে থাকে। সে ধরনের যদি কিছু করা হয়, তা গ্রহণযোগ্য হবে না।’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘শহীদের রক্তের ওপর লেখা সংবিধানকে কবর দেয়ার কথা শুনলে কষ্ট লাগে। সংবিধানে খারাপ কিছু থাকলে তা বাতিলযোগ্য। এই সংবিধানকে সংশোধন বা পুনর্লিখন করা যাবে। তবে কবর দেয়া হবে এভাবে বলা ঠিক নয়। এগুলো ফ্যাসিবাদের ভাষা।’ সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের দল গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. মিজানুর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান ও জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মূল স্পিরিটের কোনো অমিল নেই। মুক্তিযুদ্ধ ও ’৭২-এর সংবিধান প্রশ্নবিদ্ধ করলে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে পরাজিত শক্তি লাভবান হবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের এই উদ্যোগ নতুন কিছু নয়। গত ২২ অক্টোবর ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ এবং প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবির আন্দোলনের সময় ছাত্ররা ৬ দফা দাবি ঘোষণা করেছিল। দাবিগুলো হচ্ছেÑ ১. ভারতের সঙ্গে করা সব চুক্তি উন্মোচন করতে হবে। অসম ও পরিবেশবিরোধী সব চুক্তি বাতিল করতে হবে; ২. ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বহমান নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে হবে; ৩. দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে; ৪. গত ১৫ বছরে হিন্দু, বৌদ্ধসহ সব সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও ভূমি দখলের বিচার নিশ্চিত করতে হবে; ৫. পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য কার্যকরী ভূমিকা নিতে হবে; ৬. অবিলম্বে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। ছাত্রদের এ দাবির আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র পুনর্গঠন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও ‘নতুন বাংলাদেশের’ রাজনৈতিক বন্দোবস্ত সফলের লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক অনুষ্ঠানে ৫৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরে আরো ৪৫ জনকে কমিটিতে যুক্ত করা হয়। বর্তমানে কেন্দ্রীয় কমিটির মোট সদস্য সংখ্যা দাঁড়ালো ১০৭ জন। এখন জেলায় জেলায় কমিটি গঠনের কাজ চলছে।
সূত্র জানায়, আজকের জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে ১৯৭২ সালের সংবিধানকে ‘মুজিববাদী সংবিধান’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এর ‘কবর’ রচনা করা এবং ‘নাৎসিবাদী আওয়ামী লীগকে’ বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করার কথা থাকবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৫৮ সমন্বয়ক শপথ গ্রহণ করবেন। ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের দালিলিক ভিত্তি, বৈধতা ও নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণের জনআকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বলছে, ৫ আগস্টের পরই ঘোষণা দেয়া প্রয়োজনীয় হলেও নানা কারণে তা সম্ভব না হওয়ায় বিপ্লবের ৫ মাস পর ২০২৪ সালের মধ্যেই ঘোষণাপত্রটি দেয়া হচ্ছে। সংবিধানে এই ঘোষণাপত্র অন্তর্ভুক্ত হবে। সূত্রের দাবি, ঘোষণাপত্রে উপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তির ১৯৪৭ সাল, এরপর ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী গণঅভ্যুত্থান, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান প্রভৃতি বিষয়সহ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সব আন্দোলন সংগ্রাম এতে স্থান পাবে। ছাত্র নেতারা মনে করছেন, ১৯৭১ সালে বিজয়ের পর মুক্তিযুদ্ধের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন বিজয়ের পরে নতুন রাষ্ট্রে দেখা যায়নি। বহুদলীয় গণতন্ত্রকে কবর দিযে এক দলীয় বাকশালের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের আকাক্সক্ষা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমান বাকশালের মাধ্যমে স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই জাতীয় আকাক্সক্ষার পরিপন্থী বাকশাল ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হবে। এ ছাড়া ২০০৯ সালের পর শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের মধ্য দিয়ে নব্য বাকশাল কায়েম হয়েছে সেটিও অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। তারপর কোন প্রেক্ষাপটের মধ্য দিয়ে তরুণদের হাত ধরে চব্বিশের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসন বিলোপ ঘটেছে তার উল্লেখ করে জুলাই প্রোক্লামেশনে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল ঘোষিত মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্র রেফারেন্স হিসেবে যুক্ত করা হবে। একাত্তরের মূল চেতনা ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার’ এই ঘোষণাপত্রে স্থান পাবে। এগুলোর পাশাপাশি নাগরিক অধিকার ও গণতন্ত্র মূলনীতি হিসেবে যুক্ত হবে।
জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সম্পর্ক নেই জানিয়ে প্রধান উপদেস্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম বলেছেন, ‘আমরা এটিকে প্রাইভেট ইনিশিয়েটিভ (বেসরকারি উদ্যোগ) হিসেবেই দেখছি। সরকারের সঙ্গে এর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। যারা এটিকে সাপোর্ট করছেন, একটা প্রাইভেট ইনিশিয়েটিভকে সাপোর্ট করছেন।’ তবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘২০২৪-এর অভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য ধারণ করে কাজ করতে হবে। সরকারের কার্যক্রমে মানুষ যেন বুঝতে পারে যে, পরিবর্তন হয়েছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইতিহাসকে বিকৃত করে কখনো কেউ মাফ পায়নি। এরা (শিক্ষার্থী) যে প্রোক্লেমেশন দেবে, এটা কিসের প্রোক্লেমেশন। ’৭২-এর সংবিধান তো মুক্তিযুদ্ধের সংবিধান। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে বাহাত্তরের সংবিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংবিধান পেয়েছে। এটা মুজিব সরকার এসে নষ্ট করেছে। সেই দায় ওই সরকারের। ওই সরকারের জন্য শাসনতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ করতে পারি না।
জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ ঘোষণার পর থেকে বাংলাদেশে যে সরকারই আসবে, এই ঘোষণাপত্র সীমারেখা হয়ে কাজ করবে। এর মধ্যদিয়ে বস্তাপচা রাজনীতির অবসান হবে। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অন্তত দেড় থেকে আড়াই লাখ মানুষ জমায়েত হবে।
বিভাগ : জাতীয়
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
আমরা একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই: হাসনাত আবদুল্লাহ
যুবদল কর্মী হত্যার ঘটনায় ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যাচার ও শিবির সভাপতির উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ
এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ
টাঙ্গাইলে ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
শিক্ষা ও গবেষণায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার
মানুষের দুর্দশা মোচনে সরকারকে মনোযোগ দিতে হবে
সেনাবাহিনী ক্ষমতার বিকল্প সত্তা নয়
লিভ টুগেদার ইস্যুতে এবার স্বাগতাকে উকিল নোটিশ
ফিলিস্তিনের সমর্থনে ইস্তাম্বুলে লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ
ব্যাপক গোলাগুলিতে নিউইয়র্কে আহত ১০
গাজায় জনসংখ্যা কমেছে ৬ শতাংশ
আইএসের পতাকা উড়িয়ে হামলা, নিহত বেড়ে ১৫
নোয়াখালীতে কৃষি জমির মাটি কাটায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
ইসরাইলি পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করলেন ইয়োভ গ্যালান্ট
ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত
আশা জাগানিয়া প্রত্যাশা করা বড়ই কঠিন : গুতেরেস
মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নববর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে উন
শেনজেন অঞ্চলের পূর্ণ সদস্য হলো রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া
প্লাস্টিক দূষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে : পরিবেশ উপদেষ্টা
১৫% ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করুন: মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ